১১ দিনেও সন্ধান মেলেনি সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ১৩ জেলের

মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১১ দিন ধরে ১৩ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছ। ধারণা করা হচ্ছে, এসব জেলেদের বহনকারী ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সিমান্ত রীরা ওই ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে আটক করে রেখেছে।

নিখোঁজ জেলেদের পরিবার, ট্রলার মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের পশারী পাড়ার ‘মায়ের দোয়া’ নামক ট্রলার নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাগরে মাছ ধরতে যায় মোরেলগঞ্জ ও পার্শবর্তী জিয়া নগর উপজেলার ১৩ জন জেলে। ঘটনার দিন গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এসব জেলেদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ও একই সাথে মাছ ধরতে যাওয়া অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা ধারনা করছেন, ‘মায়ের দোয়া’ নামের মাছ ধরা ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে ভাসতে ট্রলারটি ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করলে ভারতীয় সীমান্ত রীরা ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। নিখোঁজের ১১ দিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান বা আটকের কোনো তথ্য জানতে পারেনি নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের লোকজন।

সাগরে অবস্থানরত অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা ধারণা করছেন, ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে ভাসতে ট্রলারটি ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করলে  ভারতীয় সীমান্ত রীরা জেলেদেরকে ধরে নিয়ে ওই দেশের কাকন দ্বীপের কেদারগঞ্জ কোস্টাল থানায় আটকে রেখেছে। এদিকে স্বজনদের খোঁজ না পেয়ে চরম হতাশা ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা। অনাহারে -অর্ধাহারে রয়েছে অনেক জেলে পরিবার।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন, বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের আ. মান্নান শেখের ছেলে খোকন শেখ, একই গ্রামের সোবাহান শেখের ছেলে মিরাজ শেখ, সিদ্দিক শেখের ছেলে খাইরুল বাশার শেখ, মো. হানিফ মোল্লার ছেলে মো. ইউনুস মোল্লা, দেলোয়ার ডাকুয়ার ছেলে তরিকুল ডাকুয়া, আ. মান্নান শেখের ছেলে রাজু শেখ, মো. হাসেম খানের ছেলে আকরাম খান, শুকুর বেপারীর ছেলে মারুফ বেপারী, সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে সহিদুল ইসলাম, আ. বারেক শিকদারের ছেলে রকিব শিকদার ও পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বাদুরা গ্রামের সুরাত আলীর ছেলে মো. আল- আমীন, একই এলাকার উমেদপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন, চাড়াখালী গ্রামের ফারুক জোমাদ্দারের ছেলে তরিকুল জোমাদ্দার।

স্থানীয়রা জানান, নিখোঁজ জেলেরা জন্মসূত্রেই মাছ ধরা পেশায় নিয়োজিত। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের দাবিতে বাগেরহাট  জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ‘মায়ের দোয়া ট্রলার’ মালিকের পে মো. মামুন শেখ।

এ বিষয় মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেলেদের মুক্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।