বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবীতে চলছে ৪৮ ঘন্টা স্বত:স্ফূর্ত হরতাল

মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলা জুড়ে চলছে স্বতঃস্ফূত সর্বাত্মক হরতাল।

বুধবার সকাল ৬টা থেকে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ব্যরিগেট সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

বাগেরহাট জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক হরতাল সফল করার লক্ষে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর আগে মঙ্গবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাটের ধানসিঁড়ি হোটেলের কনভেনশন সেন্টারে  প্রস্তুতিমুলক সভা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।

 

বুধবার সকাল থেকেই মোংলা-খুলনা, মোংলা-ঢাকা, বাগেরহাট-ঢাকা, খুলনা-বাগেরহাট-বরিশাল মহাসড়ক ও সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কসহ জেলার সব উপজেলা সড়কগুলোতেও দূরপাল্লাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও সড়ক বিভাগের পানগুছি নদী ও মোংলার ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ফেরিও চলাচলও বন্ধ রয়েছে।এর ফলে সকাল থেকেই মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলা এখন পর্যন্ত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন।

 

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো- কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্যই বর্তমান সিইসি বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করেছেন, এটাকে আমরা গভির ষড়যন্ত বলে মনে করি।বাগেরহাট জেলাবাসী কিছুতেই এ ষড়যন্ত মেনে নেবে না।বাগেরহাটকে উন্নয়ন বঞ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে একটি কমানোর প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।

 

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকেই বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ছিল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি চারটি আসন বহল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের নেতা

কর্মীরা।পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেন।