টেকসই বেড়িবাঁধ এলাকাবাসীর দাবি

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর এলাকায় টানা মৌসুমি ভারি বর্ষণ ও নদীর জোয়ারের প্রভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হাঁটুসমান পানিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা ভেষে গেছে। তলিয়ে গেছে শতাধির মৎস্য ঘের। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন।

 

গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে শহরের বাজার এলাকা, হাসপাতাল রোড, কলেজপাড়া, কৃষি ব্যাংক রোড, বাজার লঞ্চঘাট ও নতুন কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। পথচারী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও রোগীবাহী যানবাহনের চালকরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

 

পৌর বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর শহরে দীর্ঘদিন ধরে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি। পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বল্লেই চলে। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে পৌরবাসিকে।

 

বৃহস্পতিবার এ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে মোরেলগঞ্জের উপজেলা ইউএনও মো. হাবিবুল্লাহ পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বদরুদ্দোজা, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির। পরিদর্শন শেষে ইউএনও তাৎণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেন।

 

পরিদর্শনের সময় পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নদীর পানি প্রবেশ করে অনেক দোকানে পানি ঢুকে পণ্যদ্রব্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত ও রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, “ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্প নেয়ার প্রস্ততি চলছে। পাশাপাশি বাজার এলাকায় নদীর পানি প্রবেশের পথগুলো দ্রুত বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।

 

অপরদিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়নে শতাধিক মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে চিংড়ি ও সাদা মাছ নদীতে ভেষে গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যাবসায়ীরা। ওই ইউনিয়নের ইউপি সচিব মো. ফারুক হোসেন বলেন, বহরবুিনয়া ইউনিয়নে অনেক কাচারাস্তা ও মৎস্য ঘের পানির নিচে ডুবে আছে পানি না কুমলে সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছেনা।

 

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়তে পারে বলে শতার্ক করছে উপজেলা প্রশাসন।