মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসে দুদক দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। বাগেরহাট দুদকের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’র অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বাগেরহাটের দুদক টিম কৃষি অফিসে গত তিন অর্থ বছরে কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন বিতরনে অনিয়মের অভিযোগে তারা কাগজপত্রাদি পর্যালচনা করে দুপুর দুইটায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। দুদকের জেলা সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, সারা দেশে দুর্নীতি রিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমারা এ অভিযান পরিচালনা করছি। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গত তিন অর্থ বছরে কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে ১৪ টি কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন প্রদান করেছে। সেগুল প্রকৃত কৃষক পায়নি। আমাদের অনুসন্ধানে দেখাগেছে তিনটি মেশিন মোরেলগঞ্জের কৃষকরা পেয়েছে। এখানে কাগজ সর্বশ্য মেশিন বিতরণ করেছে। তিনি বলেন অভিযোগটি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়াগেছে।। কাগজপতে দেখাগেছে মেটাল আর্কিটেক লি:, এসিআই মটরস, আবেদ ইকুপমেন্ট ও উত্তরণ এ চারটি কম্পানি মেশিন গুল সরবরাহ করেছে। দুদক আরো অধিকতর তদন্ত করে তাদের রিপোর্ট কমিশনে প্রেরণ করবে। তিনি আরো বলেন এক উপজেলার মেশিন অন্য উপজেলায় নিতেহলে উপজেলা কৃষি অফিসারের অনুমতি প্রদান করতে হবে। সেখানে কৃষি অফিসার কোন অনুমতি প্রদান করেননি।
মেশিন বিতরনের লিষ্টের নাম ধরে কয়েকজন কৃষককে ফোন দিলে বেশির ভাগ কৃষকের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরমধ্যে নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মৃত এসেন উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. মোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি কৃষক নই। আমি একজন মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী। আমার এখানে এসব মেশিন চলেনা। আমি ওই মেশিন সম্পর্কে কিছুই জানিনা।
বারইখালী ইউনিয়নের মো. আনিছুর রহমানের মেয়ে লাইজু আক্তার এর কাছে ফোন দিলে তিনি মেশিন পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। ওই এলাকার সাবেক মেম্বর মো. কিয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইজু ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি আরো বলেন আমাদের এলাকায় এই মেশিন ঢোকার কেন রাস্তা নেই। আমাদের রাস্তায় ভ্যানগাড়ীও চলেনা । তাহলে সে কিভেিব এ মেশিন নিয়ে আসল। এলাকার আরো সাধারণ মানুষের সাথে কথা বল্লে তারা বলেন আমরা ধান কাটার কোন মেশিন আমাদের এলাকায় দেখেনি। লাইজু অবিবাহিত এবং সে ঢাকায় চাকুরী করে । সে কৃষক নয়।
কম্বাইন্ড হারভেষ্টার মেশিন বিতরণ কালিন সময়ের তৎকালীন কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী বলেন আমি থাকাকালীন সময় এই মেশিনগুল বিতরণ করা হয়েছে। অমি কোন অনিয়ম করিনী। কয়েকটি মেশিন এলাকার বাইরে আছে সেগুল নিয়ে আসার জন্য কৃষকদেরকে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। দেখি তদন্তে কি হয়।
বর্তমান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার ৮ টি মেশিন বাইরে আছে। সেগুল অনুমতিনিয়ে বাইরে নেয়া হয়েছে। তিনি অনুমতি দিয়েছেনকিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি অনুমতি দেইনি। আমার পূর্বে যিনি ছিলেন তিনি অনুমতি দিয়েছেন। সাইফুল ইসলাম আরো বলেন প্রতিটা মেশিনের মূল্য ৩০ লক্ষাধিক টাকা। এরমধ্যে ত্রিশ শতাংশ কৃষক দিয়েছে বাকি সত্তোর শতাংশ টাকা সরকার ভর্তুকি দিয়েছে।